• weather ২৭.৯৯ o সে. আদ্রতা ৮৯%
  • রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
img

হতাশায় খালি হাতে ফেরত ঠাকুরগাঁও নারী ফুটবল দল

প্রকাশিত : ২০১৯-০৭-২০ ১৮:২৯:১৫
photo

নিজস্ব প্রতিবেদক: জেএফএ অনুর্ধ ১৪ জাতীয় মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে খেলতে না পেরে হতাশা আর ক্ষোভ নিয়ে বাড়ি ফিরলো ঠাকুরগাঁওয়ে নারী ফুটবল দল। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টা সময় পঞ্চগড় এক্সপ্রেসে ঠাকুরগাঁও রোড রেলওয়ে স্টেশনে নামে তারা। ১৮ জন খেলোয়ারসহ রাঙ্গাটুঙ্গি মহিলা ফুটবল একাডেমির পরিচালক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলামসহ কোচ জয়নুল আবেদীন ও সুগা মরমু সাথে ছিলেন।

গত শুক্রবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ট মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জেএফএ অনুর্ধ ১৪ জাতীয় মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালা খেলায় অংশ নেওয়ার  খেলার কথা ছিলো ঠাকুরগাঁও জেলা দলের। কিন্তু ফাইনাল খেলার দেড় ঘন্টা আগে অবৈধ খেলোয়াড় থাকার অভিযোগে বাফুফে জানায় তারা ফাইনাল খেলায় অংশ নিতে পারবেনা। এতে মাঠে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এতে হতাশা আর ক্ষোভ নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে ফিরে আসেন নারী এই খেলোয়াড়রা।

খেলোয়াড়দের অভিযোগ, তাদের চক্রান্ত করে খেলায় অংশ গ্রহন থেকে বিরত রেখেছে বাফুফে। এর সুষ্ঠুতদন্ত করে অধিকার ফেরত চায় এই ক্ষুদে খেলোয়াড়রা। 

গত ১৮ জুলাই ময়মনসিংহকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা নারী দল ফাইলে ওঠে। 

ক্ষুদে নারী ফুটবলাদের স্বপ্ন ছিল ঠাকুরগাঁওবাসীকে উপহার দিবে জাপান সরকারের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। কিন্তু হতাশায় খালি হাতে ফেরত এলেন ঠাকুরগাঁওয়ের অনুর্ধ ১৪ নারী ফুটবল দল।

এ ঘটনায় ফেসবুকে চলছে বাফুফের বিরুদ্ধে নানা সমালোচনার ঝড়। ঠাকুরগাঁওবাসী আন্দোলনের হুসিয়ারি দিয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পদক হেলাল বলেন, গত শুক্রবার ঠাকুরগাঁও দলকে অন্যায় ভাবে খেলতে দেওয়া হয়নি। বাফুফে কারণ হিসেবে দেখিয়েছে ঠাকুরগাঁও দলে নাকি ৪ জন অবৈধ খেলোয়াড় খেলেছে! আচ্ছা যেই দল পুরো টূর্নামেন্ট খেলে ফাইনালে এলো তাদের কেন এভাবে বাদ দেয়া হলো? বাদ পড়লে তো আরও আগেই বাদ পড়ার কথা। দোষ করবে বাফুফে আর তার খেসারত দিতে হবে জেলা দলকে এবং উঠতি খেলোয়াড়দের। কারন তারা কেন আগেই ধরতে পারলো না অবৈধ খেলোয়াড় খেলানোর বিষয়টি! মাঠে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলো। ভাগ্য ভালো যে কোন বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটেনি।

ঠাকুরগাঁওয়ের স্থানীয়রা বাফুফের এ সীদ্ধান্তকে কোন মতে মেনে নিতে পারছেনা। খুব দ্রুত সময়ে ঠাকুরগাঁওবাসী আন্দোলনে নামার হুসিয়ারি দিয়েছেন।

দেশের ছয়টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা আটটি দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করে চুড়ান্ত পর্বের খেলা শুরু হয় ১২ জুলাই হয় কমলাপুর বীরশ্রেষ্ট মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। সেখানে 'ক' গ্রুপে ছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন টাঙ্গাইল জেলা, রাজশাহী জেলা, মাগুরা জেলা ও ঠাকুরগাঁও জেলা। 'খ' গ্রুপে ছিল রাঙামাটি, রংপুর, মানিকগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলা। 

© ঠাকুরগাঁও ৭১

ফোন : +৮৮০১৭১৭৮০১৪৪০
ইমেইল : info@thakurgaon71.com